এদিকে ইরানের মজলিশ ও বিশেষজ্ঞ পরিষদে এক দশকের রক্ষণশীল আধিপত্যের অবসানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সংস্কারপন্থী নেতারা। জয়ের জন্য চেষ্টায় বিন্দুমাত্র কমতি রাখতে চান না তারা। আর সেকারণে দলের অনেকে প্রার্থিতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত না হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মিত্র বলে বিবেচিত মধ্যপন্থীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন সংস্কারপন্থীরা।
মধ্যপন্থী ও সংস্কারপন্থী জোটের প্রার্থীদের ‘দ্য লিস্ট অব হোপ’ নামে ডাকা হচ্ছে। আর এ ‘দ্য লিস্ট অব হোপ’ নামের তালিকায় থাকা প্রার্থীদের জন্য জোটের কর্মীরা গত সপ্তাহে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। তালিকায় শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোহাম্মদ রেজা আরেফের নাম রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে ‘প্রিন্সিপলিস্টস’ বা রক্ষণশীলরাও গোলাম আলী হাদদাদ আদেলের নেতৃত্বে একটি জোট গঠন করেছে। গোলাম আলীর পরবর্তী পার্লামেন্টারি স্পিকার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। সংস্কারবাদীরা ইংল্যান্ড ও বিবিসির পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন রক্ষণশীলরা। ‘বিবিসি সমর্থিত প্রার্থীকে না’ বা ‘নো টু বিবিসি ফেবারড ক্যান্ডিডেটস’ নামে প্রচারণা চালিয়েছে তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ইরানের এবারের মজলিশ ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচনে অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইরানের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর পশ্চিমা বিনিয়োগকারীরা দেশটিতে ফেরত যেতে শুরু করায় জীবন মান উন্নয়নে আশাবাদ বেড়েছে। সংস্কারবাদী এবং মধ্যপন্থীরা বিদেশি বিনিয়োগকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আর তাদের ও প্রচারণা ইরানের তরুণদের আকর্ষণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইরানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি তরুণ হলেও দেশটিতে তরুণদের বেকারত্বের হার ২৫ শতাংশ।
তবে রক্ষণশীলদের দাবি, দেশের ভেতরকার উৎপাদনের মাধ্যমেই শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবদ্ধি আসতে পারে। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা
/এফইউ/বিএ/