কোভিডের ভ্যাকসিনে অবদান রাখায় নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী

চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতলেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্র ওয়াইজম্যান। সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন আবিষ্কারে এই পুরস্কার পেলেন তারা। কাতালিন ক্যারিকো হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বিজ্ঞানী এবং ড্র ওয়াইজম্যান মার্কিন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী।

২০২২ সালে জাপানে একটি অনুষ্ঠানে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্র ওয়াইজম্যান। ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস

তারা যে প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছেন, করোনা মহামারির আগে তা পরীক্ষামূলক ছিল। এখন তা ব্যবহার করে বহু মানুষকে প্রাণঘাতী করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্নার করোনা টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তির। একই প্রযুক্তি ক্যানসারের পাশাপাশি অন্যান্য গবেষণা কাজেও ব্যবহার হচ্ছে।

নোবেল পুরস্কার কমিটি ঘোষণা বলেছে, আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যে সবচেয়ে বড় হুমকির ভ্যাকসিন উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন বিজয়ীরা।

বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিবছর চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরি দিয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু করে নোবেল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কমিটি বরাবরই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে। 

১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮-তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।