শতাব্দীর ভয়াবহতম অনাবৃষ্টির কবলে ভিয়েতনাম

মাসের পর মাস স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হওয়ায় ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে ভিয়েতনাম।গত ১০০ বছরে এমন অনাবৃষ্টি আর হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ১৯২৬ সালে মেকং নদীর পানি সবচেয়ে বেশি নেমে যায়।বর্তমানে এল নিনো আবহাওয়াই এই অনাবৃষ্টির কারণ বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভিয়েতনাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কম্বোডিয়া ও লাওসেও একই রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারও পানি সংকটে ভুগছে।

দুষ্প্রাপ্যতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানির লবণাক্ততাও

কৃষিপ্রধান দেশ ভিয়েতনামের পানি প্রয়োজন মূলত সেঁচের জন্য। বিশ্বের সর্বাধিক কফি উৎপাদনকারী এই দেশটিতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে প্রবল শৈত্যের প্রকোপ দেখা গেছে যা উৎপন্ন কফির ব্যপক ক্ষতি করেছে।

ক্যান থো বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন বিশয়ের অধ্যাপন লে আন তুয়ান জানান, মেকংএ অনাবৃষ্টির কারণে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন হেক্টর আবাদি জমি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি আরও জানান, এটি আবাদি জমির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।তিনি বলেন, ‘পানির দুষ্প্রাপ্যতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লবণাক্ততাও। আমরা কেউই জানিনা এই পরিস্থিতিতে ঠিক কোন পদক্ষেপ যথাযথ হবে।’

এই অবস্থায় ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়ে গ্রামাঞ্চলে ১৪১ টি পানির কল বসানো হয়েছে যা দিয়ে প্রায় ৯ হাজার পরিবারের পানির চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ আল জাজিরা

/ইউআর/