সোমালিয়ায় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ১৫০

আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় মার্কিন ড্রোন হামলায় দেশটির চরমপন্থী সংগঠন আল-শাবাবের ১৫০ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার পেন্টাগন জানিয়েছে, সপ্তাহ শেষে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ১৯৫ কিলোমিটার উত্তরে আল শাবাবের একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়ে এই অপারেশন সফল করা সম্ভব হয়েছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস জানান, আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপারেশন সফল হয়েছে। তারা সোমালিয়ায় মার্কিন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল।

noname

ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস জানান, ওই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটিতে ২০০-এর মতো জঙ্গির উপস্থিতি ছিল। হামলা চালানোর আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পটি পর্যবেক্ষণ করে মার্কিন বাহিনী।

সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুর্গম গ্রামগুলোতে লোকজনের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে সেখানে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে আল-শাবাব। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এক সময় সোমালিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মাকিসামুইর তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। এছাড়া বেশকিছু বিমান বন্দর, সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দরেও তাদের প্রভাব রয়েছে। এটাও তাদের আয়ের অন্যতম উৎস।

২০০৬ সালে সোমালিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ইথিওপিয়ার সামরিক জোটকে পরাজিত করে আল-শাবাব। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সোমালিয়া সরকার এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের যৌথবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে কিসমায়ো বন্দর এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে জঙ্গি গ্রুপটি চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপের সময় উগান্ডায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৭৬ জনকে হত্যা করে। ২০১৩ সালে কেনিয়ায় বড় হামলা চালায়। নাইরোবির ওয়েস্ট গেট শপিং মলের ওই হামলায় ৬৮ জন নিহত হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সোমালিয়ায় আল শাবাবের একাধিক হামলায় নিহত হন প্রায় অর্ধশত মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা। 

/এমপি/