অর্থপাচারের দায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত হচ্ছেন সিলভা



ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রসিকিউটররা। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোবাসে দুর্নীতির তদন্তের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সিলভা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গুয়ারুজায় রিসোর্টের ৩ তলাবিশিষ্ট পেন্টহাউজ নিয়ে সিলভা আর তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটররা জানান, সিলভা আর তার স্ত্রীসহ অন্তত ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। ওই তালিকায় সিলভার ছেলের নামও রয়েছে। অভিযোগগুলো বিচারপতির গ্রহণের অপেক্ষায় আছে।
এর আগে গত শুক্রবার লুলা দা সিলভাকে দুর্নীতির দায়ে আটক করা হয়। পেট্রোব্রাস’র বিশাল অঙ্কের ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার সিলভাকে আটক করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ কর্মকর্তারা সাবেক প্রেসিডেন্টের বাসভবন তল্লাশি শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। ব্রাজিলে গত কয়েক বছর ধরে পেট্রোব্রাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা তেল কোম্পানির কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে রিও ডি জেনেরিও, সাও পাওলো ও বাহিয়া প্রদেশের বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে। এসব রাজনীতিবিদ অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির ঠিকাদারি হাতিয়ে নিয়েছেন।
ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১১ সালে নিজ দলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিলমা রৌসেফ-এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তার শাসনামলে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং লাখ লাখ মানুষ দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্তি পান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পেট্রোব্রাস দুর্নীতিতে তার জড়িত থাকার গুঞ্জন ওঠার পর লুলার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/