নবজাতক অপহরণের দায়ে নার্সকে দোষী সাব্যস্ত

১৯৯৭ সালে ৩ দিন বয়সের এক শিশুকে অপহরণের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কেপ টাউনের একটি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে যায় ওই নারী। 

গতবছর একটি স্কুলে একইরকম দেখতে দুই শিশুকে দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। এমনকি তাদের দুজনের জন্মদিনও মিলে যায়।

এ ঘটনায় এক শিশুর কথিত মা ৫১ বছরের ওই নারীকে গতবছর গ্রেফতার করা হয়। এরপর ডিএনএ টেস্টে জানা যায়, ওই দুই শিশু আসলে দুই বোন।

জিফানি নার্স নামের শিশুটিকে অপহরণের ঘটনায় আদালতে জামিন চাইলে আদালত ওই নারীর আবেদন খারিজ করে দেয়।

আদালত প্রাঙ্গনে জিফানি নার্স-এর মা-বাবা

দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপ টাউনে ওই নার্সের সঙ্গেই থাকতেন জিফানি। শিশুটির প্রকৃত মা-বাবার বাসাও ছিল একই এলাকায়।

জিফানির বাবা আদালতকে জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে তিনি এর স্বপক্ষে প্রমাণ খুঁজে বের করতে এক মাস সময় নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ডিএনএ টেস্টে তার প্রমাণ মিলেছে।

১৯৯৭ সালে দেশজুড়ে সন্ধান চালিয়েও জিফানির খোঁজ মেলেনি।

অভিযুক্ত ওই নারী জানান, গর্ভস্রাবের ফলে তিনি মনে করতেন তার বৈধভাবে একটা সন্তান দত্তক নেওয়া প্রয়োজন।

তার দাবি, একটি ব্যস্ত রেল স্টেশনের পাশে  সিলভিয়া নামের এক নারী তাকে নবজাতক শিশুটিকে দিয়েছিলেন। তবে তার দাবি অনুযায়ী ওই কথিত নারীকে খুঁজে পাওয়া  যায়নি।

এমনকি দত্তক নেওয়ার কাগজপত্রেও স্বাক্ষরের কথা জানান এ নারী। অবশ্য সেসব কাগজ এতোদিনে হারিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

মামলার রায়ে অভিযুক্ত ওই নারীর দাবি নাকচ করে দেন আদালত। বিচারক জন হোপ বলেন, অভিযুক্তের সব যুক্তি বানোয়াট। আদালত তার দাবি প্রত্যাখ্যান করছে।

রায়ের আগে অভিযুক্ত নারী বিবিসিকে বলেন, এক্ষেত্রে তিনি নিজেও ঘটনার শিকার। তার মতে, জিফানিকে গ্রহণের সময় তিনি প্রতারিত হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/