দাম্পত্য ধর্ষণকে অপরাধ মানতে নারাজ ভারত!

nonameবিশ্বের বহু দেশেই দাম্পত্য ধর্ষণ (বিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন) আইনের চোখে অপরাধ বলে বিবেচিত হলেও একে অপরাধ বিবেচনা করতে নারাজ ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক ইউনিয়ন মন্ত্রী মেনকা গান্ধী বলেন, বিয়ের পর ধর্ষণের যে ধারণা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে তার প্রয়োগ অসম্ভব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, দাম্পত্য ধর্ষণের বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চেয়ে গতকাল ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্ন করা হয়। এর উত্তরে মেনকা গান্ধী বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও বিভিন্ন কারণে ভারতে এর প্রয়োগ করা অসম্ভব। এই কারণগুলোর মধ্যে আছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য, বিভিন্ন সামাজিক প্রথা ও মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাস ইত্যাদি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিয়েকে একটি আধ্যাত্মিক বিষয় হিসেবে দেখেন ভারতীয়রা।
উল্লেখ্য, ৬০ এর দশকে নারীবাদিরা দাবি তোলেন, বিয়ের পরও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হলে তাকে ধর্ষণ বিবেচনা করতে হবে। দাম্পত্য ধর্ষণকে অপরাধ গণ্য করা প্রথম দেশগুলো হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন, পোল্যান্ড, চেকোস্লাভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া। এখন বিশ্বের বহু দেশেই একে অপরাধ গণ্য করা হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
/বিএ/