পর্দা নামলো আরব সামরিক মহড়ার

মরুর বুকজুড়ে বিশাল ট্যাংক বহর আর যুদ্ধবিমানের উপর্যুপরি গর্জনের মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হলো ১২ দিনের আরব সামরিক মহড়া ‘নর্থ থান্ডার’। মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎ এ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার ২০টি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা।

noname

মহড়ায় অংশ নেওয়া অন্য মুসলিম দেশগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সৌদি বাদশাহ। কিং সৌদ বিমান ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন সালমানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের বাইরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে অংশ নেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির এবং ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি। সৌদি আরবের কুয়েত ও ইরাক সীমান্ত সংলগ্ন হাফার উল বাতিন শহরে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়া পরিচালনা করেন সৌদি আরবের চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল রাহমান আল বানিয়ান। তিনি একে ‘আরব ও ইসলামি দুনিয়ার বৃহত্তম এ সামরিক জমায়েত’ হিসেবে অভিহিত করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে মহড়া চলে ১০ মার্চ পর্যন্ত। মুসলিম দেশগুলোর এ মহড়াকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামরিক মহড়া হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। এ আয়োজনের একটা বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হুমকি মোকাবিলায় এ অঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও প্রশিক্ষিত ও গতিশীল করা।

/এমপি/