মুসলিম অলিম্পিয়ানকে হিজাব খুলতে বাধ্য করে ক্ষমা প্রার্থনা

যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্সিং টিমের এক সদস্যকে সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তোলার সময় হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়। পরে পরিচয়পত্রে ওই সদস্যের ভুল নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক খবরে এ কথা জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হিজাব পরা নারী হিসেবে আসন্ন ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে অংশ নেবেন ইবতিহাজ মুহাম্মদ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম অ্যাথলেট তিনি। নিউ জার্সির বাসিন্দা ৩০ বছরের ইবতিহাজ ডিউক থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। ভিসা ও আমেরিকান এয়ারলাইন্সের মতো প্রতিষ্ঠান তার কর্পোরেট স্পন্সর।
টুইটারে ইবতিহাজ হিজাব খুলতে বাধ্য করার ঘটনা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ছবি তোলার সময় তাকে হিজাব খুলতে জোর করা হয়। তিনি কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, হিজাব তিনি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই পরেন।  কিন্তু কর্তৃপক্ষ তবু তাকে জোর করে। শেষ পর্যন্ত তাকে যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয় তাতে তার নাম ভুল দেওয়া হয়। এছাড়া পরিচয়ও ভুল উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় উৎসবের আয়োজক প্রতিষ্ঠান এসএক্সএসডব্লিউ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। সাংস্কৃতিক বিভিন্ন আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠানের বেশ সুনাম রয়েছে এবং মুক্তমতের সমর্থক বলে তারা নিজেদের দাবি করে।

টুইটারে ইবতিহাজ মুহাম্মদ এ ঘটনা প্রকাশ করার পর ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরিচয়পত্রের জন্য হিজাব বা অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাক খোলার নীতি নেই প্রতিষ্ঠানের। যে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্বে ছিলেন তিনি অতি উৎসাহী হয়ে এ কাজ করেছেন। ইতোমধ্যে তাকে অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। আমরা ব্যক্তিগতভাবে ইবতিহাজের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/