হামাস নেতার মৃত্যু: ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি হিজবুল্লাহর

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ একটি ‘নতুন ও বৃহত্তর’ ধাপে উপনীত হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এই হুমকি দিয়েছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর ইরান বলেছে, সিনাওয়ারের মৃত্যু ‘প্রতিবাদের চেতনাকে আরও দৃঢ়’ করবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল হোতা ছিলেন সিনওয়ার। এই হামলার মধ্য দিয়েই গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত।

বুধবার এক ইসরায়েলি অভিযানে সিনওয়ার নিহত হন।

পশ্চিমা নেতারা বলেছেন, হামাস নেতার মৃত্যুতে গাজা যুদ্ধ বন্ধের সুযোগ তৈরি হলো। কিন্তু ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির হাতে আটক জিম্মিদের ফেরত পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘জিম্মিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বলছি, এখন যুদ্ধের সংকটময় এক মুহূর্ত চলছে। আপনাদের, আমাদের প্রিয়জনরা ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে যাবো।’

গত জুলাই মাসে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ তেহরানে নিহত হন। এরপর সিনওয়ারকে হামাসের সামগ্রিক নেতা মনোনীত করা হয়। গাজার ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গে তিনি আত্মগোপনে থাকতেন বলে ধারণা করা হতো।

ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। তবে তাকে হত্যাকারী সেনারা ইসরায়েলের প্রধান ‘শত্রুকে’ প্রথমে চিনতে পারেনি।

সামরিক বাহিনীর প্রকাশ করা ড্রোন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত একটি ভবনের ভেতর আর্মচেয়ারে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তার দেহ ধূলিধূসরিত। ইসরায়েলের দাবি, ওই ব্যক্তিই সিনওয়ার।

হামাসের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে দলটির কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে সিনওয়ার প্রাণ হারিয়েছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।