আগামী সপ্তাহে রিও ডি জেনেরিওতে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের জন্য সুস্পষ্ট বার্তা প্রদানে বৃহৎ অর্থনীতির দেশের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান সাইমন স্টিয়েল । জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোর জন্য অর্থ সহায়তা চুক্তি সুরক্ষায় এই বার্তা সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক চিঠিতে স্টিয়েল বলেছেন, আসন্ন সম্মেলন থেকে একটি সুস্পষ্ট বৈশ্বিক বার্তা দেওয়া উচিত। অনুদান, ঋণ বৃদ্ধি ও ঋণমুক্তির মাধ্যমে দুর্বল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলার দায়িত্ব উন্নত দেশগুলোর।
স্টিয়েলের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারাও। তারা জানিয়েছেন, জলবায়ু আলোচনায় অগ্রগতি ও মনোযোগের অভাব উদ্বেগজনক।
জি২০ সম্মেলন থেকে একটি শক্তিশালী বার্তার আশা প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের জলবায়ু কর্মকর্তা অ্যানা টনি। বাকুতে চলমান কপ ২৯ সম্মেলনের আলোচনা সফল করতে এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অর্থায়ন ব্যবস্থা নিয়ে এই আলোচনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার ও কার্যক্রমের দিক নির্ধারণ করবে। জি ২০ সম্মেলনের মাধ্যমে আলোচনায় অগ্রগতি ও সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার আশা করছেন সবাই।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বছরে অন্তত এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, কপ-২৯ এর আলোচনায় অর্থায়ন বিষয়ে এখনও আশানুরূপ অগ্রগতি সাধিত হয়নি।
সৌদি আরবের মতো বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো জ্বালানি ব্যবস্থায় পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা আটকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা। সৌদি আরব এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
উগান্ডার জ্বালানিমন্ত্রী রুথ নানকাবিরওয়া বলেছেন, পুরো জ্বালানি খাতকে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থায় রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব রয়েছে। ফলে আদৌ পরিবর্তন সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।