নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন

বহিরাগতরা রাষ্ট্রদ্রোহী শ্লোগান দিয়েছিল: তদন্ত কমিটি

nonameজওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি দাবি করেছে, বহিরাগতরা গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশ বিরোধী ও উস্কানিমূলক স্লোগান তুলেছিল৷ তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টে আরও দাবি করেছে, দুর্ভাগ্যবশত জেএনইউ-এর ছাত্ররা সেটা করার অনুমতি দিয়েছিল। রিপোর্টের দুটি ভাগ রয়েছে। একটি রায়, অপরটি সুপারিশ।
উল্লেখ্য, ওই দিন ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ৷  তা সত্ত্বেও ওই অনুষ্ঠান করা হয়৷ তদন্ত কমিটির দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবেই এই কাজ করা হয়েছিল৷
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা  নিয়েও৷ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কীভাবে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে উস্কানিমূলক স্লোগান দিল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ অভিযোগ, বহিরাগতদের থামানো বা তাদের বের করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি৷

 

তদন্ত কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ অংশে জেএনইউ-এর ছাত্র সংগঠনগুলোকে আরও দায়িত্বপূর্ণভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধি, সেখানে তাঁদের কখনওই কোনও বহিরাগতদের দেওয়া উস্কানিমূলক বার্তাকে সমর্থন করা উচিত নয়৷

৯ ফেব্রুয়ারি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি বামপন্থী ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। আর ১০ দিন অজ্ঞাতবাসের পর রবিবার রাতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া’র দায়ে অভিযুক্ত পাঁচ কথিত ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ শিক্ষার্থী তাদের ক্যাম্পাসে ফেরেন। তারা হলেন– উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রামা নাগা, আশুতোষ কুমার এবং অনন্ত প্রকাশ। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে উমর ও অনির্বাণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট কথিত রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থীর করা অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

/বিএ/