বাংলাদেশের ব্যাংক ডাকাতিতে হ্যাকাররা সুফট কোড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে অর্থ উত্তোলনের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। আর উগান্ডার ক্ষেত্রে তা করা হয়েছিল টেলেক্স মেশিনের মাধ্যমে, যার মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে অর্থ উত্তোলনের অনুরোধ পাঠানো হতো। ডাকাতেরা ফেডারেল ব্যাংক থেকে বেসরকারি ব্যাংকে স্থানান্তরের জন্য উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টেলেক্স মেশিন থেকে অনুরোধ পাঠায়।
বেশ কয়েকটি দেশে অনুসন্ধান চালিয়ে সেই তদন্ত দল চুরি যাওয়া অর্থের সন্ধান করতে সক্ষম হয়। সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের সময় সুইজারল্যান্ডে এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়, তবে তার অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিতে চুরি হওয়া বাংলাদেশের অর্থের সন্ধানেও একইভাবে চার দেশের কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন।
মঙ্গলবার ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কথা বললে রাজি হননি। তবে তারা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার তদন্তে তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সুইফট কোড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সকল বৈধ পথ অতিক্রম করেই ওই অর্থপাচারের ঘটনাটি ঘটে। ফেডারেল সিস্টেমের কোনও পর্যায়ে কোনও অনিয়ম ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
/এসএ/বিএ/