বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরি

উগান্ডায় একই স্টাইল অনুসরণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে

nonameযুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ বিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপাইনে সরিয়ে নেওয়ার মতো সাইবার ডাকাতির ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। ১৯৮০ সালে উগান্ডায় প্রায় একই রকমের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ওই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বাংলাদেশের ব্যাংক ডাকাতিতে হ্যাকাররা সুফট কোড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে অর্থ উত্তোলনের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। আর উগান্ডার ক্ষেত্রে তা করা হয়েছিল টেলেক্স মেশিনের মাধ্যমে, যার মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে অর্থ উত্তোলনের অনুরোধ পাঠানো হতো। ডাকাতেরা ফেডারেল ব্যাংক থেকে বেসরকারি ব্যাংকে স্থানান্তরের জন্য উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টেলেক্স মেশিন থেকে অনুরোধ পাঠায়।

 

nonameযুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে অবহিত করলে তারা বলেছিল, এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। আর এতেই বিপদ সংকেত বেজে ওঠে। কর্মকর্তাদের একটি দল ওই অর্থের সন্ধান শুরু করে। ওই তদন্তে তৎকালীন অ্যাটর্নি থমাস ব্রেক্সটারও ছিলেন, যিনি বর্তমানে ফেডারেল ব্যাংকের প্রধান আইন বিষয়ক কর্মকর্তা।
বেশ কয়েকটি দেশে অনুসন্ধান চালিয়ে সেই তদন্ত দল চুরি যাওয়া অর্থের সন্ধান করতে সক্ষম হয়। সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের সময় সুইজারল্যান্ডে এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়, তবে তার অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিতে চুরি হওয়া বাংলাদেশের অর্থের সন্ধানেও একইভাবে চার দেশের কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন।
মঙ্গলবার ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কথা বললে রাজি হননি। তবে তারা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার তদন্তে তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সুইফট কোড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সকল বৈধ পথ অতিক্রম করেই ওই অর্থপাচারের ঘটনাটি ঘটে। ফেডারেল সিস্টেমের কোনও পর্যায়ে কোনও অনিয়ম ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
/এসএ/বিএ/