নতুন খবর হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার পর অস্ট্রেলিয়ায়ও ‘ফেয়ারি সার্কেল’ বা ‘রহস্য-বৃত্ত’ নামের অদ্ভূত বৃত্তাকার চিহ্ন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির এ রহস্যের সমাধানের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। হেমহোল্টজ-এর পরিবেশবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক স্টেফান গেটজিন বলেন, ‘নামিবিয়ান ফেয়ারি সার্কেলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া ফেয়ারি সার্কেলের সংযোগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় আমরা যে বৃত্ত শনাক্ত করেছি তার সঙ্গে উইপোকা কিংবা পিঁপড়ার সংশ্লিষ্টতা নেই।’
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিজ্ঞানী ব্রোনোয়িন বেল প্রথম পিলবারা অঞ্চলে পরী-বৃত্তগুলো শনাক্ত করেন এবং ভাবনায় পড়েন যে কেন সেগুলো ওই অঞ্চলটির একটি বিশেষ জায়গাতেই হচ্ছে। এরপর স্থানীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও বাস্তুসংস্থান বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হন তিনি। কিন্তু কেউই তাকে কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেল বলেন, ‘আমি এ বৃত্তগুলোকে চিকেন পক্স নামে ডাকতে লাগলাম।’
ফেয়ারি সার্কেল নিয়ে প্রচলিত নানা তত্ত্ব
ফেয়ারি সার্কেল বা রহস্যবৃত্ত নিয়ে প্রচলিত আছে নানা মত। উইপোকার তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে যে, পোকাগুলো স্বল্পজীবী উদ্ভিদের মূল খেয়ে ফেলে এবং সে জায়গাটুকু ফাঁকা হয়ে যায়। আর তা গোল গোল চক্রের মতো হয়ে পড়ে। এরপর সেখানে বৃষ্টির পানি জমা হয় এবং সে পানি ভূগর্ভে চলে যায়। এতে করে উইপোকা আর ঘাসের চক্রগুলো শুকনো মৌসুমেও বহাল থাকে।
বিভিন্ন তত্ত্বে আবার উট পাখি, বিষাক্ত উদ্ভিদ এবং গ্যাসকেও ফেয়ারি সার্কেলের উৎপত্তির কারণ হিসেবে হাজির করা হয়। এ ফেয়ারি সার্কেলগুলোকে স্থানীয় হিমবারা ঈশ্বরের পদচিহ্ন বলে মনে করেন। এমনও জনশ্রুতি আছে যে, প্রাগৈতিহাসিক কোনও ড্রাগনের বিষাক্ত নিঃশ্বাসের ফলাফল জমিগুলোর এই অনুর্বরতা! আর অতি সম্প্রতি ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা দাবি করেন যে ভীনগ্রহীদের বহনকারী যান ইউএফও’র অবতরণের কারণে ফেয়ারি সার্কেলের উৎপত্তি। সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস
/এফইউ/বিএ/