আইএইচএস-র বিশ্লেষণে বলা হয়, তুর্কি-সিরীয় সীমান্তের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে আইএস তেল চোরাচালান থেকে আসা আয়ের ৪০ শতাংশ হারায়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের জিহাদিদের সংখ্যাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়ায় দখলকৃত এলাকা হারানোর পাশাপাশি আইএসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা নিহত অথবা বন্দি হওয়ায় তাদের প্রচার-প্রচারণাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহে যোগ দেওয়ার জন্য বিদেশিদের সিরিয়া গমন এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেক।
আইএইচএসের গবেষক দলের প্রধান জানিয়েছেন, নিজেদের শক্তিকেন্দ্র রাক্কার উত্তরে তুর্কি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর কালোবাজারে তেল বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করা আইএসের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে। যখন সীমান্তটি আইএসের নিয়ন্ত্রণে ছিল, চোরাচালানিরা তেল কিনতে দক্ষিণে যেত এবং ট্যাঙ্কার ভর্তি করে তেল নিয়ে তুর্কি সীমান্ত পার হতো। কিন্তু এখন সীমান্তটি কুর্দি বাহিনীর নিয়্ন্ত্রণে তাই তেল রপ্তানি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। সূত্র: ডেইলি মেইল
/বিএ/