প্রকাশিত খবরে বলা হয়, চীনা বংশোদ্ভূত কিম অং সহ আরও চারটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ফিলিপাইনে পাচার করা হয়। পরে কিম তার অ্যাকাউন্টের ওই অর্থ প্যারানাকি সিটির ক্যাসিনোতে পাঠান।
দিগুইতো অভিযোগ করেন, অন্য চার সন্দেহভাজনের (মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগরোসাস, এনরিকো তেওদোরো ভাসকুয়েজ, আলফ্রেড সান্তোস ভারগারা) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে অং নিজেই তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
দিগুইতো বলেন, ‘আমি ওই পাঁচ জনের সঙ্গে সোলেয়ার হোটেলে দেখা করেছি। যেমনটা আমি আগেও বলেছিলাম, একজন ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে আমি মার্কেটিংয়ের জন্য ব্রাঞ্চের বাইরে যেতেই পারি। ওই পাঁচ জন সেখানেই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তাদের পরিচয় দেন। আমি তাদের ওপেনিং ফরম দিই। যা তারা যথাযথ দলিল সহ পূরণ করে আমার কাছে জমা দেন।’ দিগুইতো ব্যাংক ব্রাঞ্চে দেখা না করে কেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে সোলেয়ার হোটেলে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিম অং ব্যাংক প্রেসিডেন্টের (লরেঞ্জো তান) ঘনিষ্ট বন্ধু। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।’
তবে ১০ মার্চ লরেঞ্জো তান, তার ওপর আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি দিগুইতোর বিরুদ্ধে ওই অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (দিগুইতো) ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। একজন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কিভাবে কাজ করবে তা ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিভাবে জানবে? আরসিবিসি-র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বা গ্রাহকের সঙ্গে পরিচয় রাখা, বা তার অর্থের উৎস সম্পর্কে খোঁজ রাখার সঙ্গে আমি যুক্ত নয়।’ তান আরও বলেন, ‘আমি কাউকে দিগুইতোর কাছে পাঠাইনি।’
উল্লেখ্য, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরো সিস্টেম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ৪টি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপিনো পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। সূত্র: ইনকোয়ারার, কোকোনাটস ম্যানিলা।
/এসএ/বিএ/