মুক্তি পেলেন ৩ ইসরায়েলি জিম্মি

তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে হামাস। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মুক্তি পাওয়া তিন ইসরায়েলি ব্যক্তি হলেন ৫২ বছর বয়সী এলি শারাবি, ৫৬ বছর বয়সী ওহাদ বেন আমি এবং ৩৪ বছর বয়সী ওর লেভি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে মুক্তি পাওয়া ১৮ জন জিম্মির মধ্যে তাদেরকেই সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।

ওহাদ বেন আমির শাশুড়ি বলেছেন, তাকে হাড্ডিসার দেখাচ্ছে। বিষয়টা পীড়াদায়ক।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বন্দিদের ভঙ্গুর অবস্থায় দেখাটা সত্যিই দুঃখজনক এবং আমরা এটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব।

বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ায় হামাসকে আবারও শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যায়। গাজার কেন্দ্রে কয়েক ডজন সশস্ত্র যোদ্ধার উপস্থিতিতে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) গাড়িতে তোলা হয় এবং সেখান থেকে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পৌঁছে যায়।

দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজগ হামাসের মুক্তির প্রক্রিয়াকে নিষ্ঠুর ও কৌশলী হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ দেখতে এমনই লাগে।

বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে অনেকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত থাকার দায়ে দণ্ডিত ছিলেন। এ ছাড়া গাজা যুদ্ধ চলাকালীন আটক ১১১ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় মুক্তি পাওয়া ৪২ বন্দিকে বহনকারী একটি বাস পৌঁছালে স্থানীয় জনতা উল্লাসের সঙ্গে তাদের স্বাগত জানায়।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। অনেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, দখলদার বাহিনী আমাদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লাঞ্ছিত করেছে।