ইন্দোনেশিয়ায় মানসিক রোগীদের বিপন্নতা

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৪০ বছর আগেই মানসিক রোগীদের শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা  নিষিদ্ধ করা হলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এখনও প্রায় ১৯ হাজার মানসিক রোগীকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ ছাড়াও মানসিক রোগীরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন শারিরীক লাঞ্ছনা ও যৌন নিপীড়নের।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ১৯৭৭ সালে মানসিক রোগীদের শেকল দিয়ে বেঁধে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু গবেষকদের দাবি, এখনও ইন্দোনেশিয়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীদের অত্যন্ত অমানবিকভাবে শেকল দিয়ে বেঁধে নগ্ন করে ফেলে রাখা হয়।   

ইন্দোনেশিয়ার মানসিক রোগের চিকিৎসাকেন্দ্র

সরকারি হিসেব মতে, ইন্দোনেশিয়ায় ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়েছে। সাম্প্রতিক এই গবেষণা বলছে, এদের মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮০০ রোগীকেই শেকলে বেঁধে রাখা হয়।

এ ছাড়াও নারী মানসিক রোগীরা প্রতিনিয়ত শারিরীক লাঞ্ছনা ও যৌন অপরাধের শিকার হচ্ছেন। তাদের জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যাকরণ ঘটছে হরহামেশাই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৫০ মিলিয়ন মানুষের এই দেশে রয়েছে ৩৪টি প্রদেশ। এখানে মানসিক হাসপাতালের সংখ্যা ৪৮টি এবং মনরোগ চিকিৎসকের সংখ্যা ৮০০। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বাজেটের মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় হয় মানসিক রোগের চিকিৎসা খাতে যা অত্যন্ত নগণ্য।

গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইন্দনেশিয়া সরকারের প্রতি মানসিকভাবে অসুস্থ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানান। সূত্রঃ গার্ডিয়ান

/ইউআর/বিএ/