গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বৃদ্ধি করার এখনও প্রস্তাব টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে দ্রুত তা বাস্তবায়নের সুযোগ কমে আসছে। বুধবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এসব কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ওই প্রস্তাবের অন্যতম শর্ত হচ্ছে মার্কিন নাগরিক এডান অ্যালেক্সান্ডারসহ পাঁচ জিম্মির মুক্তি। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এদিকে, বুধবার গাজায় স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, দ্বিতীয় দিনের বিমান হামলায় অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে এই ঘটনাকে উল্লেখ করা হচ্ছে।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাময়িক এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো। ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়ে ভঙ্গুর সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবসান হয়।
ইসরায়েলের পাশে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় থাকবে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই মুখপাত্র বলেছেন, তাদের প্রস্তাবটি বেশ আকর্ষণীয় হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাস হামলা চালালে এই যুদ্ধের সূচনা হয়। ওই হামলায় অন্তত ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয় বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে।
ওই হামলার জবাবে গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধে ৪৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে বলে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি। এছাড়া, গাজায় প্রায় ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর পুরো অংশই উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।