মঙ্গলবার দুই জায়গায় হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫০ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। বেলজিয়ামে নিহতদের স্মরণে চলছে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক। এরইমধ্যে সশস্ত্র সুন্নিপন্থী সংগঠন আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। এদিকে প্যারিস হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ব্রাসেলসে গ্রেফতার হওয়া আব্দেসলামকে বুধবার একটি প্রাক বিচারিক আদালতের সামনে হাজির করার কথা রয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে তিন সন্দেহভাজন শনাক্ত হলেও তাদের দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী ছিলেন। ওই দুই হামলাকারীর নাম খালিদ এল-বাকরাওই ও ব্রাহিম এল-বাকরাওই। সম্পর্কের দিক দিয়ে তারা পরস্পরের ভাই বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওই দুই হামলাকারীকে পুলিশ আগে থেকেই চিনতো এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড আছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ব্রাসেলসের ফরেস্ট এলাকায় ভুয়া নামে ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন খালিদ। ওই এলাকাতে গত সপ্তাহে পুলিশের গুলিতে এক বন্দুকধারী নিহত হন। ওই অভিযানের সময়ই পুলিশ প্যারিস হামলার মূল সন্দেহভাজন সালাহ আব্দেসলামের আঙ্গুলের ছাপ খুঁজে পায়। গত শুক্রবার আব্দেসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত তৃতীয়জনকে হামলার সময়ে বোমাভর্তি স্যুটকেস ফেলেই ব্রাসেলস বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। আর তার খোঁজেই চলছে তল্লাশি। ইউরোপের মোস্ট ওয়ান্টেড এ ব্যক্তি সাদা কোট পরা ছিলেন। তার চোখে চশমা এবং মাথায় হ্যাট ছিল। বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা জানান, তৃতীয় সন্দেহভাজন আগেই তার বোমাটি পরিত্যাগ করেছেন। বিমানবন্দর থেকে তার বের হয়ে যাওয়া পরিকল্পিত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কেউ কেউ আবার বলছেন, তৃতীয় সন্দেহভাজন তার বোমাটি বিস্ফোরিত না করতে পেরে তা রেখেই বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে গেছেন।
এরইমধ্যে তৃতীয় সন্দেহভাজনের ছবিযুক্ত ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার ইস্যু করেছে বেলজিয়ামের পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সে সময় একটি বাড়ি থেকে নখ বোমা, আইএস-এর পতাকা আর বেশ কিছু ‘রাসায়নিক উপকরণ’ উদ্ধার করা হয়। সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল, গার্ডিয়ান
/এফইউ/বিএ/