যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের কাছে নেই কোনও সদুত্তর

দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর ১০০ দিন ঘনিয়ে আসতে না আসতেই জনপ্রিয়তায় ভাটার টান দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতির সংকোচন নিয়ে কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গত তিন বছরে প্রথমবারের মতো জিডিপি হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা ট্রাম্পের আসন্ন শুল্ক বৃদ্ধির আগে অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করায় এই পতন ঘটেছে। এ নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে সব দায় বাইডেনের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা এই পরিসংখ্যানের ব্যাখ্যায় কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলেন। একদিকে তারা এর জন্য বাইডেন প্রশাসনের নীতিকে দায়ী করছেন, অন্যদিকে এটিকে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সুফল হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, আপনারা হয়ত আজকের পরিসংখ্যান দেখেছেন। শুরুতেই বলি, এর জন্য বাইডেন দায়ী। তবে বাইডেনের দায়ের বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

ট্রাম্প আরও বলেন, আমদানি, মজুদ ও সরকারি ব্যয়ের কারণে এই সংকোচন এসেছে।

তিনি ব্যবসায় বিনিয়োগে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। যদিও কিছু অর্থনীতিবিদ বলছেন, সেটি আসলে শুল্কজনিত খরচের কারণেই ঘটেছে।

এর আগে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, এটি (জিডিপি সংকোচন) আসলে আমেরিকার জন্য ইতিবাচক খবর। তার দাবি, ব্যবসায়ীরা শুল্ক এড়াতে আগেভাগে বিদেশি পণ্য কেনায় জিডিপির হ্রাস হয়েছে। তবে এ বক্তব্য ট্রাম্পের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে বলেছেন, শুল্কের কারণে শেয়ারবাজারে কোনও পতন ঘটেনি।

এই পরস্পরবিরোধী ও অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যার মধ্যেই নিজের ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিন পার করছেন ট্রাম্প। দেখা গেছে, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে।

রয়টার্স/ইপসস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, রবিবার পর্যন্ত ৪২ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট, আর ৫৩ শতাংশ ছিলেন অসন্তুষ্ট। অথচ, জানুয়ারির ২০ তারিখে শপথ নেওয়ার পরপরই এই সমর্থন ছিল প্রায় ৪৭ শতাংশ।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স