মার্কিন অর্থনীতি সামলানোতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর জনগণের আস্থা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সম্পন্ন এক জরিপে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে মার্কিনিদের আশঙ্কা কিছুটা কমেছে এবং ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের কর্মদক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট ৪৪ শতাংশ মানুষ, যেখানে গত মাসের শেষ নাগাদ পরিচালিত জরিপে এই মান ছিল ৪২ শতাংশ।
অর্থনীতি সামলানোতে ট্রাম্পের কাজে সন্তুষ্ট মার্কিনির হার ৩৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ শতাংশ হয়েছে।
৪৭ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। তবে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর ফলে তার জনপ্রিয়তা কমে আসে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে পুঁজিবাজারে ধস নামে এবং অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দিতে থাকেন অনেক বিশ্লেষক, যা সাধারণ মার্কিনিদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জরিপ অনুযায়ী, মন্দা নিয়ে জনগণের আশঙ্কা হ্রাস পেলেও তা উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা মন্দা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এপ্রিলে পরিচালিত জরিপে এই হার ছিল ৭৬ শতাংশ। শেয়ারবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিনির হার ৬৭ শতাংশ থেকে নেমে হয়েছে ৬০ শতাংশ।
গত মাসে বিভিন্ন দেশের ওপর নজিরবিহীন শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষত, চীনের ওপর শুল্ক এক সময় ২২৫ শতাংশে উন্নীত করেন। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে স্বাভাবিকভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই উত্তেজনার রেশ গিয়ে লাগে পুঁজিবাজারে।
নিজ পদক্ষেপের সাফাই গেয়ে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন অর্থনীতি ঠিক করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া তার কোনও উপায় নেই। দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতির জন্য তিনি সব দায় অবলীলায় চাপিয়ে দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘাড়ে।
বাইডেনের আমলে কোভিড মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল, তবে তার মেয়াদের শেষের দিকে তা কিছুটা কমে আসে।
সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছর মন্দা দেখা দিলে সেটা ট্রাম্পের ব্যর্থতা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ৫৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর ৩৭ শতাংশ এখানেও বাইডেনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন।