ইন্দোনেশিয়ায় সেনা অভিযানে ১৮ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

ইন্দোনেশিয়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এ তথ্য দেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইন্দোনেশীয় সশস্ত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাপুয়া প্রদেশের ইনতন জায়াতে সুনির্দিষ্ট অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। এসময় পাপুয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ক্রিস্টোমেই সিয়ানটুরি জানিয়েছেন, বুধবারের এই অভিযানে রাইফেল, গোলাবারুদ, তীর-ধনুক এবং নাম না জানা হাতে তৈরি একাধিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানের পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে, যেন অবশিষ্ট বিদ্রোহীরা পালিয়ে যেতে না পারে বা প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে না পারে।

সেনাবাহিনীর কোনও সদস্য হামলার শিকার হয়নি বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

পাপুয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসা পাপুয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সরকারের সংঘাত নতুন নয়। তবে এই সাম্প্রতিক অভিযান ঘটনাপ্রবাহে বড় ধরনের মোড় নিয়ে এসেছে। ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাপুয়ার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত কয়েক বছর ধরে পাপুয়ায় স্বায়ত্তশাসনের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সরকারের কঠোর দমননীতি সেই দাবিকে দমিয়ে রাখতে পারছে না, বরং সংঘাতকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে।

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পাপুয়া অঞ্চলটি পাপুয়া নিউগিনির সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত একটি বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকে সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিদ্রোহীরা এর আগে বিদেশিদের জিম্মি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। ১৯৯৬ সালে ২৬ জন বন্যপ্রাণী গবেষককে তারা জিম্মি করে। সর্বশেষ নিউ জিল্যান্ডের এক পাইলটকে ১৯ মাস জিম্মি রাখার পর তারা ছেড়ে দেয়।

গত মাসে, বিদ্রোহীরা ১৭ জনের বেশি স্বর্ণখনি শ্রমিককে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, নিহতরা সবাই ছিল শ্রমিক ছদ্মবেশে সেনাসদস্য।