ইউএসএস কনেসটোগার ধ্বংসাবশেষ প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ২০০৯ সালে। সান ফ্রান্সিসকোর ২০ মাইল পশ্চিমে এই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় গ্রেটার ফারালোনস ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুয়ারি। এরপর সেই ভাঙ্গা জাহাজের অংশ পরীক্ষানিরীক্ষা করে ২০১৪ বিশেষজ্ঞরা ঘোষণা করেন ওই ধ্বংসাবশেষ ইউএসএস কনেসটোগারই অংশ।
ন্যাশনাল ওশনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ম্যানসন ব্রাউন বলেন, ‘প্রায় এক শতাব্দীর অনিশ্চয়তার পর ইউএসএস কনেসটোগা উধাও হয়ে যাওয়ার রহস্য উদঘাটন হলো।’
ইউএসএস কনেসটোগা গোল্ডেন গেট থেকে আমেরিকান সামোয়া হয়ে পারল হারবার যাচ্ছিলো, কিন্তু কখনই হাওয়াই পৌঁছায়নি। আকাশ ও জলপথে পর্যাপ্ত খোঁজাখুঁজির পর ১৯২১ সালে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ন্যাশনাল ওশনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক দল ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে করে ও জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে।
ব্রাউন বলেন, ‘আশা করি নিখোঁজ নাবিকদের পরিবারগুলো এতে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন। আমরা নৌবাহিনীর সঙ্গে একযোগে ওই নাবিকদের সম্মানে এই ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করবো।’
বিশ্লেষকদের ধারণা জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে ফারালন দ্বীপের খাঁড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পানির তলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে জাহাজটি সমুদ্রবক্ষে প্রায় অবিকৃত অবস্থায়ই রয়েছে। শুধু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় হয়ে গেছে কাঠের ডেক ও মাস্তুলগুলো। সূত্র সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান
/ইউআর/বিএ/