ট্রাম্প-মাস্ক বিরোধ: মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তিতে রিপাবলিকানরা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ধনকুবের ইলন মাস্কের মন কষাকষি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে আছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। তারা আশা করছেন, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বের একটা সুরাহা হবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নেবরাস্কা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ডন বেইকন বলেছেন, ট্রাম্প-মাস্কের দ্বন্দ্ব বিভক্তি তৈরি করেছে। বিষয়টি একদমই সহায়ক কোনও পরিস্থিতি তৈরি করছে না। বিভক্তি নিয়ে কোনও দল ভালোভাবে চলতে পারে না।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ছিলেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সবচেয়ে বড় দাতা এবং ট্রাম্পের প্রশাসনে তার প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। তিনি সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কাঠামো সংস্কারের একটি বিতর্কিত প্রচার চালান। গত সপ্তাহে তার পদত্যাগের মাধ্যমে ওই প্রচেষ্টার অবসান ঘটে।

সর্বশেষ নির্বাচনে প্রায় ৩০ কোটি ডলার খরচ করেছিলেন ইলন মাস্ক। এখন থেকে রাজনৈতিক ব্যয়ের রাশ টেনে ধরার আভাস দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প-মাস্কের সুসম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে টানাপড়েন শুরু হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর বিল নিয়ে টেসলা মালিকের মন্তব্যের জেরে। সরকারি দায়িত্ব ছাড়ার এক সপ্তাহ পার না হতেই ওই বিলের বিষোদ্‌গার করা শুরু করেন তিনি। প্রথমে জবাব না দিলেও, কয়েকদিন পর মাস্কের কথায় হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলে বসেন, ট্রাম্পকে তিনিই জিতিয়েছেন। তিনি এমনকি ট্রাম্পের অভিশংসন এবং নতুন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ওদিকে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, মাস্কের সব সরকারি চুক্তি ও প্রণোদনা বাতিল করে দিলে রাষ্ট্রের কয়েকশ’ কোটি ডলার বেঁচে যাবে।

এরপর থেকেই চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধান এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনীর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।

তাদের এই দ্বন্দ্বকে রিপাবলিকানরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে না নিলেও আগামী বছর হাউজ ও সিনেটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা নিয়ে একটু হলেও অস্বস্তিতে পড়েছেন। দুই কক্ষে রিপাবলিকানদের যথাক্রমে আট ও ছয় আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

জর্জিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি মার্জোরি টেইলর গ্রিন বলেছেন, ইন্টারনেটে একে অন্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়া সমস্যার সমাধান নয়। যখন একে অপরের ফোন নম্বর আছে, তখন সেটা ব্যবহার করাই ভালো। আমি আশা করি তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেবে।

উল্লেখ্য, গ্রিন নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে প্রায়ই উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।