কলম্বিয়ায় হত্যাচেষ্টার শিকার সিনেটর আপাতত শঙ্কামুক্ত

কলম্বিয়ায় প্রাণঘাতি হামলায় আহত সিনেটর মিগুয়েল উরিবের অস্ত্রোপচার প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য পদপ্রার্থী উরিবের এক জনসভায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত হলেও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মারিয়া ক্লদিয়া তারাজোনা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সানতা ফে ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উরিবের মাথা বাম উরুতে চিকিৎসা করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাকে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তারাজোনা বলেছেন, মিগুয়েলের অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। সে এখন ঠিক আছে। তবে প্রতিটি ঘণ্টাই এখনও আশঙ্কাজনক। প্রথম লড়াই সে পার হয়ে গেছে। এখন কেবল সময়ের সঙ্গে সুস্থ হওয়া।

৩৯ বছর বয়সী উরিবে বিরোধীদলীয় ডানপন্থি ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার পার্টির একজন সদস্য। আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবার থেকে এলেও উরিবের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম এখনও খুব একটা সুপরিচিত ছিল না।

সভায় পেছন থেকে মাথা লক্ষ্য করে উরিবের ওপর একাধিক গুলি চালানো হয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গুলি চালানোর জন্য ১৫ বছরের কম বয়সী এক ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছে ৯ মিমি এর একটি গ্লক টাইপ পিস্তল পাওয়া গেছে।

হামলার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়। হামলার নির্দেশদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।

হামলার শিকার হওয়ার পেছনের মূল কারণ এখনও নিশ্চিত হয়ে উঠতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উরিবের পরিবার বিভিন্নভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার নানা ১৯৭৮ থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর তার মা, সাংবাদিক ডায়ানা টারবে ১৯৯০ সালে কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারি পাবলো এস্কোবারের আদেশে অপহৃত হন। ১৯৯১ সালে এক উদ্ধার অভিযানের সময় তিনি প্রাণ হারান।