গাজার একটি গোপন সুড়ঙ্গ থেকে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রবিবার (৮ জুন) আইডিএফের তরফ থেকে দাবি করা হয়, একমাস অভিযানের পর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন দাবি করেন, হামাসের আরেক শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং রাফাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ শাবানার মরদেহও একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সশস্ত্র সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খান ইউনিসে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচের সুড়ঙ্গটি হামাসের গুরুত্বপূর্ণ পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেছেন ডেফরিন। তিনি বলেন, বেসামরিক স্থাপনা এবং হাসপাতালে অবস্থান করে সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে হামাস। এই সুড়ঙ্গটি আমাদের অভিযোগের পক্ষে আরেকটি উদাহরণ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মাসে মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে গতকাল ডেফরিন দাবি করেছেন, এখন তাদের কাছে সিনওয়ারের ডিএনএ পরীক্ষার ফল রয়েছে। আর তাতে প্রমাণিত হয়, নিঃসন্দেহে ওই মৃতদেহ সিনওয়ারেরই।
হামাসের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ সিনওয়ার বা মোহাম্মদ শাবানার মৃত্যুর খবরের বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রদান করা হয়নি।
মোহাম্মদ সিনওয়ার ছিলেন হামাসের সাবেক নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামাসের হামলা চালানোর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
আর মোহাম্মদ শাবানা ছিলেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ সামরিক নেতা। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের নিচে বিস্তৃত সুড়ঙ্গপথের নেটওয়ার্ক তৈরিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ইসরায়েলের অভিযোগ, সীমান্তের ওপারে হামলা ও অভিযান চালাতে এসব সুড়ঙ্গের ব্যবহার করে আসছে হামাস।