পালমিরায় আইএসের সঙ্গে সংঘর্ষে রুশ কমান্ডো নিহত

সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা ঐতিহাসিক নগরী পালমিরায় প্রবেশ করার পর সেখানে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে। সংঘর্ষে এক রুশ কমান্ডো নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সরকারি বাহিনী পালমিরায় প্রবেশ করেছে। অপর এক ফুটেজে সরকারি বাহিনীর সদস্য এবং সামরিক যান শহরের মধ্য দিয়ে যেতে দেখা গেছে, যেখানে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছিল। এই নগরীটি গত বছর মে থেকে আইএসের দখলে রয়েছে। কৌশলগত কারণে এই নগরী দখলে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বুধবার সিরিয়ায় রুশ কমান্ডার জেনারেল আলেকজান্দার ভরনিকভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পালমিরা আইএসের দখলমুক্ত হলে, তা হবে আইএসের জন্য বিশাল আঘাত। তিনি বলেন, ‘পালমিরা হাতছাড়া হলে ইসলামিক স্টেট দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। আর তাতে রাকা এবং দেইর এজ-জোরে প্রবেশ করাটা অনেক সহজ হবে। আর তাহলে ইরাক সীমান্তে পৌঁছানো এবং তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সম্ভব হবে।’  

noname

চলতি মাসের প্রথমদিক থেকেই রুশ যুদ্ধ বিমানের সহযোগিতায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পালমিরা দখলের চেষ্টা শুরু করে। লাতাকিয়ার রুশ সেনা ঘাঁটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পালমিরা প্রবেশের সময় আইএসের হামলায় রুশ স্পেশ্যাল ফোর্সের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি সরকারি বাহিনী এবং রুশ বিমান হামলার মধ্যে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন। লাতাকিয়া ঘাঁটির ওই মুখপাত্র রুশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘চারিদিক থেকে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘেরাও হওয়ার পরেও ওই সেনা সদস্য গুলির ভয়ে ভীত হননি। তিনি বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেন।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইট জানিয়েছে, সরকারি বাহিনী শহরের অনেক কাছাকাছি অবস্থান করছে।

সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর দেশটিতে সহিংসতার মাত্রা ভীষণভাবে কমে এসেছে। তবে আল-কায়েদা সম্পর্কিত আল-নিসরা ফ্রন্ট এবং আইএস ওই অস্ত্রবিরতি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার সরকার বিরোধী আন্দোলনের সুযোগে আইএস এবং আল-নুসরার মতো সশস্ত্র গ্রুপগুলোর উত্থান ঘটে। আর পাঁচ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নিহত হন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ লাখ মানুষ। সূত্র: বিবিসি। 

/এসএ/এমপি/