‘ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মার্কিন সম্পৃক্ততার পরিণতি হবে ভয়াবহ’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে যাওয়ার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এক অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান সংঘাতে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়ে হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ড. ডারা কনডুইট বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার প্রস্তাবটা ভয়াবহ একটা বিষয়। ইরান যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করছে, মার্কিন প্রশাসন জড়িয়ে পড়লে তার আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। আমরা তাকে এখনই সরিয়ে দেব না (হত্যা করা), তবে আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।

এই স্ট্যাটাস দেওয়ার তিন মিনিট পার না হতেই দু শব্দের আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। ইরানের প্রতি ইঙ্গিত করা ওই পোস্টে ইংরেজি বড় হরফে লেখা ছিল, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!’

ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, চলমান সংঘাতে আগ্রাসী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত হয়ে আছে হোয়াইট হাউজ।

পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে সম্ভাব্য কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। এরমধ্যে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে হামলা চালানোর কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা। একইদিন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেছেন তিনি। চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের ওপর বৈঠক আয়োজিত হলেও, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে সংঘাতে জড়ালে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি, অবকাঠামো বা মিত্রদের ওপর হামলা করে বসতে পারে তেহরান। সেক্ষেত্রে ইরানের সামনে যুদ্ধ থেকে পিছু হটার আর কোনও পথ থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ড. কনডুইট।