কুরস্ক পুনর্দখলের পর এবার পুনর্গঠনেও সহায়তা করবে উ. কোরিয়া

ইউক্রেনের হাত থেকে কুরস্ক পুনরুদ্ধারের জন্য রাশিয়াকে সেনা সহায়তা দিয়েছিল কিম জং উনের দেশ। এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনে সহায়তা করতে কয়েক হাজার কর্মী পাঠাবে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (১৭ জুন) পিয়ংইয়ং-এ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন রুশ নিরাপত্তা পরিষদ সচিব সের্গেই শোইগু। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শোইগুকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, কুরস্ক পুনরুদ্ধার কাজে সহায়তা করতে এক ডিভিশন নির্মাণকারী, পাঁচ হাজার লোকের দুটি সামরিক ব্রিগেড এবং মাইন অপসারণের কাজে সহায়তার জন্য এক হাজার কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ হচ্ছে ভ্রাতৃসুল্ভ সহায়তা।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, কিম ও শোইগুর মধ্যে অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত বছর আকস্মিকভাবে রুশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে কুরস্কে হামলা চালায় ইউক্রেন। এরপর দীর্ঘদিনের অভিযানে কুরস্কের অনেকটাই কিয়েভের দখলে এসেছিল। তবে ধীরে হলেও ক্রমান্বয়ে কুরস্কের দখল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করে আসছিল ক্রেমলিন। এপ্রিল মাসে মস্কো দাবি করে, কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়দের ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে।

কুরস্কের পুনর্দখলের জন্য উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সেনা সহায়তা পেয়েছে রাশিয়া। গত বছর দু দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তিও সাক্ষরিত হয়েছে। দুদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগে ছিল পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। এবারও সহায়তা প্রেরণের খবর চাউড় হতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। জাপানের দিক থেকে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টার ফলে ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং জাপানের চারপাশে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।