সর্বশেষ আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশটির ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনতি হয়েছে। আর্থিক সংকটকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, যা ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক শিক্ষাঙ্গনে যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে প্রভাবিত করছে।
সর্বশেষ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন অক্সব্রিজের উভয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড়িয়ে গেছে। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ স্থানে নেমে এসেছে।
এই অবনমন সত্ত্বেও, চারটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শীর্ষ দশে রয়েছে। তবে, সামগ্রিক চিত্র উদ্বেগজনক, কারণ নতুন ২০২৬ সালের র্যাংকিং ইঙ্গিত দেয় যে, যুক্তরাজ্যের ৬১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান হারিয়েছে। যাদের র্যাংকিং কমেছে তাদের মধ্যে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি, ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স (এলএসই)-এর মতো সুপরিচিত নামও রয়েছে।
তবে এর মধ্যেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অবস্থানে স্থির রয়েছে। এগারোটি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে ২৪টি তাদের অবস্থান উন্নত করেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করে যথাক্রমে ৯২তম এবং ৯৭তম স্থানে শীর্ষ ১০০-তে ফিরে এসেছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় দেঢ় হাজার বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি মালিকানাধীন কলেজ এলএসসিআই-এর চেয়ারম্যান নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিশ্বজুড়ে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করছে। তবে সম্প্রতি এই খাতে ব্রিটিশ সরকারের বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে। বিনিয়োগ কৌশলের এই সুস্পষ্ট বৈপরীত্য বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষায় যুক্তরাজ্যের এক সময়ের অপ্রতিরোধ্য অবস্থান হারানোর একটি প্রধান কারণ।