ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহার অথবা নিদেনপক্ষে, তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেন, আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা প্রদর্শন করা উচিত। তিনি এক মহান নায়ক যিনি দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।
নেতানিয়াহুর জন্য ক্ষমা মঞ্জুরের ক্ষমতা একমাত্র ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের কাছেই রয়েছে। তবে ক্ষমা মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত আপাতত তাদের বিবেচনায় নেই এবং কারও পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়নি বলে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি আলাদ অভিযোগ গঠন করা হয়। পরের বছর তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে যোদ্ধা আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, এই ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রই বাঁচিয়েছে। এবার নেতানিয়াহুকেও আমরাই রক্ষা করব।
ইসরায়েলকে বাঁচানো বা নেতানিয়াহুকে রক্ষা করা বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী বুঝিয়েছেন, তা ওই লেখায় কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। সমালোচকদের ধারণা, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে মার্কিন হামলার বিষয়টিকে তাদের রক্ষা করা বলে উল্লেখ করে থাকতে পারেন তিনি।
ইসরায়েলি প্রধানমত্রীর বিরুদ্ধে বিচারকাজ চালানোকে ডাইনি নিধন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ক্ষেত্রেও ট্রাম্প একই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বিরল এক বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার ওই বক্তব্যের পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে একদিন পরই নেতানিয়াহুর সমর্থনে এমন জোরালো বক্তব্য দিলেন তিনি।
ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলা হওয়ায় বিরক্ত ট্রাম্প বলেছেন, আমরা একটা চুক্তি করে সারতে পারি নি, অথচ ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবাজি করেছে। আমি তাদের ওপর এতে মোটেই খুশি নই।
তিনি আরও বলেন, ইরান ও ইসরায়েল এত বেশিদিন ধরে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যে, নিজেরাও জানে না তারা আসলে করছেটা কী!