ইসরায়েলে সরঞ্জাম বিক্রি: ২ কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করবে না নরওয়ে

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) কাছে সরঞ্জাম বিক্রয়ের কারণে দুটো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল কেএলপি। সোমবার (৩০ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কেএলপি বলেছে, প্রতিষ্ঠান দুটির মারফত সরবরাহকৃত সরঞ্জাম গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করছে আইডিএফ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

কেএলপির বিনিয়োগ শাখার প্রধান কিরান আজিজ বলেছেন, গত বছর জাতিসংঘ মারফত আমরা জানতে পারি, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওশকোশ কর্পোরেশন এবং জার্মানভিত্তিক থাইসেনক্রাপের বিক্রি করা সরঞ্জাম গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। যথেষ্ট পর্যালোচনার পর আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, প্রতিষ্ঠানদুটো আমাদের বিনিয়োগ নীতিমালার লঙ্ঘন করেছে। তাই, কেএলপির বিনিয়োগ তালিকা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওশকোশ মূলত ট্রাক ও সামরিক বাহন নিয়ে কাজ করে। আর জার্মান প্রতিষ্ঠানটি এলিভেটর থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজের মেশিনারিসহ বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনে জড়িত।

কেএলপির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জুন পর্যন্ত ওশকোশে ১৮ লাখ এবং থাইসেনক্রাপে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

নরওয়েজিয়ান পেনশন তহবিলটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি প্রায় ১১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল পরিচালনা করে। এটি নরওয়ের পৌরসভা ও সরকারি খাতের মালিকানাধীন একটি পেনশন তহবিল, যা প্রায় ৯ লাখ কর্মজীবী মানুষের পেনশন সামলায় এবং যাদের অধিকাংশই পৌরসভা ও স্থানীয় সরকারে কর্মরত।

অতীতেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জড়িত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কেএলপি। ২০২১ সালে তারা অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোট ১৬টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে, যার মধ্যে ছিল টেলিকম জগতের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান মটোরলা।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় তারা ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করে। গত গ্রীষ্মে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, কারণ তাদের তৈরি বুলডোজারগুলো ইসরায়েলে সামরিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যবহৃত হয়।