আইএসের পালমিরা ধ্বংসযজ্ঞের স্থিরচিত্র

সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে পালমিরা পুনর্দখলের পর নতুন কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। তাতে ঐতিহাসিক ওই নগরীতে আইএসের ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।  

‘বেল মন্দির’, এখানে গত বছর সেপ্টেম্বরে আইএস বিস্ফোরণ ঘটায়

প্রায় ১০ মাস ধরে আইএস দখল করে রাখে পালমিরা শহর এবং ইউনেস্কো ঘোষিত সেখানকার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। সেখানে বেশকিছু পুরাকীর্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটলেও এখনও অনেক প্রাচীন নিদর্শন অক্ষত রয়েছে।

২০০০ বছর পুরনো স্থাপনা ‘আর্চ অব ট্রায়াম্ফ’, যেখানে গত বছর অক্টোবরে আইএস হামলা চালায়

সিরিয়ার পুরাকীর্তি প্রধান মামোন আবদুলকরিম জানান, কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে খারাপ অবস্থাটাই ধারণা করছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ঐতিহাসিক কাঠামোগুলোর অনেকগুলোই ভালো অবস্থায় রয়েছে।’

ঐতিহাসিক নিদর্শন দ্য থিয়েটার, এখানে আইএস জনগণকে ধরে এনে হত্যা করতো

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারি বাহিনীর পালমিরা পুনর্দখলকে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ বড় অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছেন। সেনা সূত্রে জানা গেছে, রুশ যুদ্ধ বিমানের সহযোগিতায় বেশ কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর এখন পুরো পালমিরায় সিরীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে সক্ষম হয়েছে।

পালমিরা জাদুঘরে প্রবেশের মুখেই দেখা মেলে ধ্বংসযজ্ঞের

ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আসাদ জানতেন, রুশ বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া পালমিরা অভিযান সম্ভব হতো না।’

পালমিরার নতুন শহর থেকে পুরাকীর্তি ‘সিটাডেল’
গত বছর মেতে আইএস পালমিরা দখল করার পরপরই পুরাকীর্তি ধ্বংসে যোগ দেয় এবং সেখানকার পুরাকীর্তি তত্ত্বাবধায়ককে হত্যা করে। ওই ঐতিহাসিক শহরটি কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী দামেস্ক এবং দেইর আল জোরের মাঝে এর অবস্থান।

বিধ্বস্ত জাদুঘর

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, পালমিরা যুদ্ধে অন্তত ৪০০ আইএস সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই যুদ্ধে অন্তত ১৫৮টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয় এবং এতে শতাধিক আইএস সদস্য নিহত হয়েছেন।

ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পালমিরা সিটি কাউন্সিল

পাঁচ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আগে বছরে প্রায় দেড় লাখ দর্শণার্থী পালমিরায় আসতেন। উল্লেখ্য, চলমান গৃহযুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হন আরও অন্তত ১০ লাখ মানুষ। সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/বিএ/