স্বঘোষিত সরকারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ত্রিপোলিতে লিবিয়ার ঐক্য সরকার

লিবিয়ার ঐক্য সরকার ত্রিপোলিতে পৌঁছায়বিরোধীদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই বুধবার লিবিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐক্য সরকার ত্রিপোলিতে পৌঁছেছে। আর এর পরই ত্রিপোলিতে বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে নাকি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
৫ বছর আগে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে। দেশটিতে রাজনৈতিক বিভাজন শুরু হয়। দুটি পার্লামেন্ট গঠিত হয়। লিবিয়ায় এমন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত ঠেকাতে গত বছর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয়। দেশটির পরস্পরবিরোধী দুটি প্রশাসনের স্থলাভিষিক্ত করতেই এ কাউন্সিল গঠন করা হয়। এ পরস্পরবিরোধী ভিন্ন দুটি প্রশাসনের একটি ত্রিপোলিতে অবস্থিত আর আরেকটি পূর্বাঞ্চলীয় শহর তবরুকে অবস্থিত। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুই প্রশাসন একে অপরের সঙ্গে লড়ছে।
লিবিয়ায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় জাতীয় ঐক্যের সরকার ঘোষণা করার পর সম্প্রতি ত্রিপোলির স্বঘোষিত সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীদের তরফে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, নতুন সরকার যেন তাদের এলাকায় না যায়। তবে সে হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই বুধবার নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সাররাজসহ কাউন্সিলের সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি দল সমুদ্রপথে ত্রিপোলিতে পৌঁছান। অস্থায়ীভাবে একটি নৌঘাঁটিতে অবস্থান করছেন তারা।

এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়েজ সাররাজ বলেন, ‘এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা জনগণের কাছে ঘোষণা দিতে চাই যে ত্রিপোলিতে জাতীয় ঐক্যের সরকারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সংলাপ ও যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো।’

লিবিয়ায় নিয়োজিত জাতিসংঘের মার্টিন কবলার ত্রিপোলিতে নতুন সরকারের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলকে সহায়তা দেওয়ার জন্য লিবিয়ার জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সূত্র: আল জাজিরা

/এফইউ/