বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে গণেশ টকিজের কাছে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল ফ্লাইওভারের একাংশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ আটকে পড়ে আছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, একটি যাত্রীবোঝাই মিনিবাসও আটকে রয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপে। ধসের পর ঘটনাস্থলে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। সেখানে পৌঁছতেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে দুই মন্ত্রী। এদিকে ঘটনার পর মেদিনীপুরের সভা বাতিল করে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে আজকের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন তারা। পরিকাঠামোর অভাবে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করা যাচ্ছে না অনেক মানুষকে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গ্যাস কাটার দিয়ে গ্রিল কাটার কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু যে দ্রুততার সাহায্যে তা করা উচিত তা হচ্ছে বলে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। উদ্ধারকার্যে তারাও হাত লাগিয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সাড়ে ১২টা নাগাদ বোমা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি চোখের সামনে আস্ত একটা উড়ালপুল ভেঙে পড়ছে।’
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে ইমারজেন্সিতে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গোটা রাত ধরে ব্রিজ ঢালাইয়ের কাজ হয়। কিন্তু সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে উড়ালপুল। ফায়ার সার্ভিস দেরিতে আসার অভিযোগও করেছেন তারা।
ঘটনার পর শহরজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। চিৎপুর রোড, বিবেকানন্দ রোড-সহ একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা ২৪ জানিয়েছে, নতুন করে ধ্বংসস্তূপের নীচে কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল কর্মীরা। উদ্ধার কাজে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাসদস্যরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা মেট্রো। ভারী ক্রেট ছাড়াও অত্যাধুনিক ক্রেন দিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, কলকাতা ২৪, টাইমস অব ইন্ডিয়া
/বিএ/