ফ্লাইওভারের আশেপাশের সাধারণ মানুষ শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এতো বড় বিপর্যয় তারা এর আগে কখনো দেখেননি। তারা আশঙ্কা করছেন, ফ্লাইওভারের বাকি অংশটুকুও ভেঙে পড়তে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফ্লাইওভারের বাকি অংশটুকু এখনই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ধসে পড়া অংশটির নিকটবর্তী স্থানে তারা তদন্ত করে দেখবেন, তেমন কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা।
ফ্লাইওভারের ধসে পড়া ১৫০ মিটারের প্রশস্ত অংশটি সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কংক্রিট ও ধাতব পদার্থের ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি সহ যাত্রীবাহী বাসও ফ্লাইওভারের ধসে পড়া অংশে চাপা পড়তে দেখেছেন তারা।
এদিকে, ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার ঘটনায় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আইভিআরসিএল-এর বিরুদ্ধে সরাসরি ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, যারা সেতু তৈরিতে কাঁচামাল সরবরাহ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেতু যাদের দেখাশোনা করার কথা ছিল, তারা তা ঠিক মতো করেছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত রাতেই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ৭ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর তাদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বালি, হাওড়া, উত্তরপাড়া, আনন্দপুর এবং হায়দ্রাবাদের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
উদ্ধারকাজে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার ওয়াশিংটন সফররত মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফোন করে এ আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এ খবর নিশ্চিত করে। সূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার
/এফইউ/