মার্কিন সেনার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা: ব্রিটিশ তরুণের কারাদণ্ড


জুনায়েদ খানব্রিটেনে মার্কিন সেনাকে হত্যাচেষ্টার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ তরুণ জুনায়েদ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি ও তার চাচা শাজিব খানকে আইএসে যোগদানের চেষ্টার দায়েও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কিংস্টন ক্রাউন কোর্টে ছয় সপ্তাহের বিচার কার্যক্রম শেষে শুক্রবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, জুনায়েদ খান নামে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণ ব্রিটেনের ইস্ট অ্যাংলিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমানঘাঁটির বাইরে মার্কিন বিমানবাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি ওষুধ কোম্পানিতে পণ্য সরবরাহকারী গাড়িচালক হিসেবে চাকরি নেন তিনি।
পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে জুনায়েদ সিরিয়ায় আইএসের হয়ে লড়াইরত আবু হোসেনের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করে থাকেন। সে সময় তারা দুজন হত্যা পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করেন। জুনায়েদ খান হোসেনকে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে তিনি এক মার্কিন সেনার ওপর হামলা চালিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে হামলার পরিকল্পনা উদঘাটিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর সিরিয়ার রাকায় এক মার্কিন ড্রোন হামলায় হোসেন নিহত হন। হোসেনের মূল নাম জুনায়েদ হোসেন যিনি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত।
পরে গত জুলাইতে গ্রেফতার হন জুনায়েদ খান। তার ফোনে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, জুনায়েদ খান তার শয়নকক্ষে আইএসের পতাকা সদৃশ একটি কালো পতাকা নিয়ে পোজ দিয়েছেন। তার কম্পিউটারেও আল-কায়েদার বোমা ম্যানুয়েল খুঁজে পান গোয়েন্দারা।  
জুনায়েদ খানের মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া ছবি

২০১৫ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জুনায়েদ খানকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
জুনায়েদ খান ও তার চাচা ২৩ বছর বয়সী শাজিব খান তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে শুক্রবার রায় ঘোষণার পর তাদের কেউ কোনও ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাননি। তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে তা আইনি কারণ দেখিয়ে প্রকাশ করা হয়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

/এফইউ/