‘মহাযোদ্ধা’ উপাধি পেলেন সেই মুসলিম শিক্ষক

কেনিয়ার একটি বাসে আল শাবাবের হামলার সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবনদানকারী সেই মুসলিম শিক্ষককে মহাযোদ্ধা উপাধিতে ভূষিত করেছে দেশটির সরকার। সাহসী কর্মকাণ্ডের জন্য সালাহ ফারাহ নামের ওই মুসলিম শিক্ষককে এ উপাধি দেওয়া হয়।

কেনিয়ার শিক্ষক সালাহ ফারাহ

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মান্দেরা থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে ওই বাসে হামলা চালায় সশস্ত্র ইসলামপন্থী সংগঠন আল-শাবাবের সদস্যরা। সে সময় খ্রিস্টান যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে নিজের শরীর দিয়ে ঢাল তৈরি করে রাখেন সালাহ ফারাহ। খ্রিস্টান যাত্রীদের কাছ থেকে আলাদা হতে রাজি না হওয়ায় আল শাবাব সদস্যরা তাকে গুলি করেন। পরে ২ থেকে ১০ বছর বয়সী ৪ সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান সালাহ ফারাহ।

সালাহ ফারাহ’র এমন ‘অসাধারণ বীরত্বের’ স্বীকৃতিস্বরূপ বৃহস্পতিবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা তাকে মহাযোদ্ধা উপাধিতে ভূষিত করেন।

পার্লামেন্টে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কেনিয়াত্তা বলেন, ‘অপরিচিত মানুষদের বাঁচানোর জন্য তিনি জীবন দিয়েছেন। এর কারণ হলো তিনি তাদের ধর্মীয় অনুভূতির স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে ধর্মীয়বিশ্বাস নির্বিশেষে প্রত্যেকটি জীবনই মূল্যবান।’

সালাহ ফারাহর পরিবারের জন্য অর্থ সংগৃহীত হচ্ছে

সালাহ ফারাহ’র পরিবারকে উদ্দেশ্য করে কেনিয়াত্তা বলেন, ‘আমি ওনার সন্তানদের বলতে চাই যে তাদের বাবার এ আত্মদানের কথা দেশ কখনও ভুলবে না। তার এ কীর্তির কথা সবাই মনে রাখবে।’

সালাহ ফারাহ’র মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহি দেরৌ নামের এক মানবাধিকারকর্মী সালাহর পরিবারের জন্য টাকা তুলতে জানুয়ারি থেকে টুইটারে এক ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এ পর্যন্ত তাদের জন্য প্রায় ৬ লাখ কেনীয় মুদ্রার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

/এফইউ/বিএ/