কলকাতার ফ্লাইওভার ধস

পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেই দুর্ঘটনাস্থলে রাহুল, আহতদের সহযোগিতার আশ্বাস

রাহুল গান্ধীকলকাতায় পা রেখেই দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। গণেশ টকিজ মোড়ে গিয়ে সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। রাহুল উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারপর তিনি যান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন না বলেও জানান তিনি। 
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে গণেশ টকিজের কাছে ভেঙে পড়ে নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ ফ্লাইওভারের একাংশ। এ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে। বৃহস্পতিবার সারা রাত ধরে চলে উদ্ধার কাজ। কলকাতা পুলিশ ও দমকল কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেনা সদস্যরা শুক্রবার সকালে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বের করে আনেন আরও দুই জনের মরদেহ। এছাড়া আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় শুক্রবার।
২ এপ্রিল রাহুল গান্ধীর পশ্চিমবঙ্গ সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। তিনি বাঁকুড়া, কুলটি এবং দুর্গাপুরে তিনটি নির্বাচনী জনসভা করবেন বলে আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। পোস্তায় ভয়াবহ ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার পরই কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়, ২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে এসে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন রাহুল। দেখা করবেন আহতদের সঙ্গেও। রাহুল আগে পোস্তায় যাবেন না আগে মেডিক্যাল কলেজে যাবেন, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় ছিল। এক সময় শোনা যাচ্ছিল, তিনি জনসভা সেরে ফেরার পথে যাবেন দুর্ঘটনাস্থলে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধসে পড়া উড়ালসেতু
শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস জানায়, রাহুল গান্ধী প্রথমে মেডিক্যাল কলেজে যাবেন। তার পর জনসভার জন্য রওনা হয়ে যাবেন। কিন্তু সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর রাহুল নিজেই কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, সবার আগে পোস্তায় দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন তিনি। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাহুলের বহর রবীন্দ্র সরণি হয়ে গণেশ টকিজ মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ভেঙে পড়া পি-৪০ পিলারের ঠিক সামনে যান তিনি। সেখানে কর্মরত ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরিস্থিতি জেনে নেন। কথা বলেন দমকল কর্মীদের সঙ্গেও, রাহুলের সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি, শুভঙ্কর সরকার, সন্তোষ পাঠক প্রমুখ। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সিপি জোশীও রাহুলের সঙ্গে ছিলেন।

বিবেকানন্দ উড়ালসেতুর ভেঙে পড়া অংশের নিচে আটকে ছিল লরি

দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর রাহুল রওনা দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশে। প্রথমেই ইমার্জেন্সি বিভাগে যান রাহুল। সেখানে যে ৯ জন গুরুতর আহত ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে অন্য আহতদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। মেডিক্যাল কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। যেভাবে পারব, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াব। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই না।’ রাহুল মেডিক্যাল কলেজে আহতদের আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গেও কথা বলেন। তাদের সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।  সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

/এসএ/বিএ/