উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে রুল জারির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত বৈধ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। এমন অবস্থায় গর্ভপাতকে অবৈধ ঘোষণা করার পক্ষেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আসছেন রিপাবলিকানরা।
বুধবার টাউন হলে অনুষ্ঠান চলার সময় গর্ভপাত ইস্যুতে নিজের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ট্রাম্প। সে সময় গর্ভপাতকে অবৈধ করা হলে গর্ভপাতকারী নারীদের শাস্তির বিধান রাখার পক্ষে মত দিয়ে সমালোচনার মুখে মুহূর্তেই নিজের অবস্থান থেকে খানিক সরে আসতে বাধ্য হন তিনি। আগের বক্তব্য থেকে খানিক সরে এসে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি গর্ভপাতকে অবৈধ উল্লেখ করে কংগ্রেস আইন পাস করে এবং প্রাদেশিক আদালতে সে আইন বহাল থাকে; কিংবা যদি অঙ্গরাজ্যগুলোকে গর্ভপাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে চিকিৎসক কিংবা সংশ্লিষ্ট যারা নারীর গর্ভপাত করাবেন তাদের দায়ী করা হবে। এক্ষেত্রে নারীদের দায়ী করা হবে না। কারণ নারী এক্ষেত্রে ঘটনার শিকার। রোনাল্ড রিগ্যানের মতো আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করব না। একেবারে ব্যতিক্রম বাদ দিলে এসব ঘটনায় আমি মূলত জীবনপন্থী।’
তবে বিবৃতির পরও অব্যাহত থাকে ট্রাম্পের সমালোচনা।
ট্রাম্পের এ বক্তব্যের মানে গর্ভপাত নিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত নয় বলে দাবি করেছেন তার প্রচারণাবিষয়ক মুখপাত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বরাবর দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান আইন নিয়ে ট্রাম্প তার যথাযথ মূল্যায়ন দিয়েছেন। তিনি এটি স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট না হওয়া পর্যন্ত এখন যে আইন বিদ্যমান আছে তা বহাল থাকবে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি বিচারপতি নিয়োগ দেবেন এবং আইন পরিবর্তন করে গর্ভপাত ইস্যুতে সিদ্ধান্তের ভার অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে ছেড়ে দেবেন। এ ব্যাপারে ট্রাম্প আগের অবস্থান পাল্টে যে নতুন বা ভিন্ন কিছু বলেছেন এমনটা নয়।’
গর্ভপাত ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান আসলে কী তা নিয়ে রক্ষণশীলরাও সন্দিহান। বর্তমানে নিজেকে জীবনপন্থী বলে উল্লেখ করলেও ১৯৯৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সবার ইচ্ছের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অবস্থান জানিয়েছিলেন তিনি। গর্ভপাতকে অবৈধ ঘোষণা করার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রথম কথা বলেন গত আগস্টে অনুষ্ঠিত রিপাবলিকানদের প্রথম বিতর্কে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এনবিসি
/এফইউ/বিএ/