আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫সি ঈগলস মোতায়েন

‘মুক্ত’ ও ‘নিরাপদ’ ইউরোপ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ১২টি এফ-১৫সি ঈগলস ও ৩৫০ বৈমানিক মোতায়েন করার কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্স। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন খবরটি নিশ্চিত করেছে।

ম্যাসাচুসেটসের বারনেস এয়ার ন্যাশনাল গার্ড বেস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ইউনিটের ১৩১তম ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো এয়ার ন্যাশনাল গার্ড বেস থেকে ১৯৪তম ফাইটার স্কোয়াড্রন ন্যাটোর অধীনে নজরদারীতে অংশ নেবে এবং নেদারল্যান্ডসে বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবে।

ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে এফ-১৫ই একমাত্র বিমান প্যাকেজ নয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিনল্যান্ডে ছয়টি এফ-১৫ নিয়ে অপারেশন আটলান্টিক রিসলভ চালানোর ঘোষণা দেয় যা মূলত শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের পর। সেই বিমানগুলো আগামী মাসে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, আইসল্যান্ডের ছোট কোস্ট গার্ড থাকলেও, আইসল্যান্ডই হচ্ছে ন্যাটোভুক্ত একমাত্র রাষ্ট্র যাদের কোন সেনাবাহিনী নেই।

স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে আইসল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি ছিল তবে ২০০৬ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।এরপর ২০০৮ সাল থেকেই আইসল্যান্ডের বিমান নিয়ন্ত্রণ ন্যাটোর অধীনে। কিন্তু রাশিয়ার বিমান অভিযান ঠেকাতে পারছে না সেই বিমানবাহিনী।

এয়ার ফোর্স সূত্র জানায়, এফ-১৫ বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের থিয়েটার সিকিউরিটি প্যাকেজের অংশ যা ইউরোপে মোতায়েন করা বিমানবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজে লাগে।

ট্রান্সআটলান্টিক সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ আটলান্টিক কাউন্সিলের পরিচালক ম্যাগনাস নোরডেনমান বলেন, ‘উত্তর আটলান্টিকে রাশিয়ার বিমানবাহিনী, বোমারু বিমান ও ডুবোজাহাজের আনাগোনা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। ফলে এখানে ন্যাটোর উপস্থিতি কাম্য হয়ে পড়েছে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষত ক্রিমিয়ার ইউক্রেন উপদ্বীপে রাশিয়ার ভূমিকা ও বিদ্রোহীদের সমর্থন পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এই বিমানগুলো আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই অঞ্চলে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র সিএনএন

/ইউআর/বিএ/