জাতিসংঘের আওতায় উ. কোরিয়ায় চীনের নিষেধাজ্ঞা

nonameউত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আওতায় দেশটি থেকে কয়লা আমদানি এবং সেদেশে বিমানের জ্বালানি তেল বিক্রিসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। মঙ্গলবার দেশটির তরফে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত পারমাণবিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় চীন।
গত ৬ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি স্যাটেলাইট পরীক্ষা চালায় দেশটি। আর এ দুটি ঘটনাকেই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়। এরপর মার্চের শুরুর দিকে পিয়ংইয়ং-এর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ ও ওয়াশিংটন। তবে চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও দেশটিকে আদতে চাপে ফেরা যাবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয় শঙ্কা। এমন অবস্থায় চীনকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা মোতাবেক কাজ করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় উ. কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করলো চীন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা উত্তর কোরীয় সামগ্রীগুলোর মধ্যে রয়েছে-কয়লা, লৌহ, আকরিক, স্বর্ণ, টিটেনিয়াম ও বিরল বৈশিষ্ট্যের মাটি। এগুলো উত্তর কোরিয়ার রাজস্ব উপার্জনের উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। তবে বেসামরিক কাজে ব্যবহার হয় এমন উপকরণ উত্তর কোরিয়া থেকে আমদানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রাখেনি চীন। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সামগ্রীর ওপরই এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সফল করার জন্য চীনের সহযোগিতাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়ে থাকে। 

খনিজ খাত হলো উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খনিজ খাতের আয় থেকেই উত্তর কোরিয়ার সামরিক ব্যয় নির্বাহ করা হয়। আর তাই পারমাণবিক কর্মসূচি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার খনিজ খাতকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।

গত বছর চীনের কাছে প্রায় ২ কোটি টন কয়লা সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

এরআগে ওয়াশিংটনে পারমাণবিক শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বৈঠক হয়। উত্তর কোরিয়া যেন আর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালাতে পারে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একযোগে কাজ করবে বলে জানান ওবামা। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

/এফইউ/বিএ/