মায়ের খোঁজে পাকিস্তান যেতে চাওয়া কিশোরকে বাংলাদেশি বাবার কাছে ফেরত

মোহাম্মদ রমজান১৫ বছর বয়সী কিশোর মোহাম্মদ রমজানের বাবা-মা আলাদা থাকেন। একজন বাংলাদেশে আরেকজন পাকিস্তানে। মায়ের সঙ্গেই থাকছিল রমজান। ২০১০-১১ সালের দিকে পাকিস্তানে বসবাসরত মা বেগম রাজিয়ার কাছ থেকে রমজানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাবা মোহাম্মদ কাজল। বাংলাদেশে আবারও বিয়ে করেন তিনি। সৎ মা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো বলে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ জানাতো রমজান। একদিন রাগ করে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায় এ কিশোর। কারণ কেউ একজন তাকে বলেছিল, ভারত হয়ে পাকিস্তান যাওয়া যাবে।
শুরুতে ভারতের রাঁচিতে পৌঁছায় রমজান। এরপর মুম্বাই ও দিল্লি হয়ে ভোপাল পৌঁছানোর পর ২০১৩ সালের অক্টোবরে সেখানকার একটি রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
গত দুই বছর ধরে উমিদ নামের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল রমজান। তবে মায়ের সঙ্গে মিলিত হতে পারেনি সে। এক এনজিওর সহযোগিতায় তাকে বাংলাদেশে অবস্থানরত বাবার কাছে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
উমিদের পরিচালক অর্চনা সাহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেন. ‘বুধবার বিকেলে রমজান কলকাতার পথে রওনা দেয়। সেখান থেকে এক এনজিওর সহায়তায় সে বাংলাদেশে ফিরবে।’
অর্চনা বলেন, ‘আমরা ওকে ওর মায়ের কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারলাম না। আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে যাওয়া সহজ বলে আমরা রমজানকে বাবার কাছে ফেরত পাঠিয়েছি।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

/এফইউ/বিএ/