প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় কেরি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পূরণে, নাগরিক সমাজের পাশে দাঁড়াতে এবং সরকারগুলোকে এ বিষয়ে তাদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবেই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।’
প্রতিবেদনে উগ্রপন্থীদের হাতে সেক্যুলার ব্লগারদের হত্যাকাণ্ড, সংবাদপত্র ও অনলাইনে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ, নারী নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে বলা হয়, নিরাপত্তাবাহিনী আইনের অপপ্রয়োগ করছে এবং দায়ী লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, দুর্বল বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার চলাকালে দীর্ঘ সময় আটক রাখার মতো বিষয়কেও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য ‘গুরুতর সমস্যা’।
আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন ফ্রন্ট, পরিচালনায় আবু ইব্রাহিম!
নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ‘সন্দেহজনক’ মৃত্যুর ঘটনা, গ্রেফতারের পর গোপন আস্তানার সন্ধান ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি, ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘বন্দুকযুদ্ধের’ কথা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে। অপহরণ ও নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে গুমের অভিযোগও সেখানে উঠে আসে। এছাড়া, বাল্যবিয়ে, কারখানায় কাজের অনুপযুক্ত পরিবেশ এবং শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার পর বিএনপি গত বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রাখে। তখন অনেক সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও, ওই সময় জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বিশ্বের দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতেও ওই প্রতিবেদনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। এর ওপর ভিত্তি করেই দেশটির বৈদেশিক সাহায্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা নির্ধারিত হয়ে থাকে। সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট।
/এসএ/এমএনএইচ/