ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্যকে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়ার পর দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র রুশপন্থীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ইয়েভগেনি ইয়েরোফেয়েভ ও আলেক্সান্ডার আলেক্সান্দ্রোভ নামের ওই দুই রুশ নাগরিককে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩
অন্যদিকে গত মার্চে ইউক্রেনের নাগরিক নাদিয়া সাভচেনকোকে একটি রাশিয়ার আদালতে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গোলাবারুদ ছুড়ে দুই রুশ সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালে তাকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র রুশপন্থীরা আটক করেছিলেন।
সোমবার রাতে দুই নেতার আলাপচারিতার পর ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন ও পোরোশেনকো সাভচেনকোকে অদূর ভবিষ্যতে কনস্যুলার ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। কারাগারে তার প্রতি অসদাচারণের অভিযোগ তুলে সাভচেনকো বেশ কিছুদিন ধরে অনশন করছেন। আর তখন থেকে তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। সাভচেনকোকে গ্রেফতারের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিন্দার ঝড় তুলেছিল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু
এর আগেও সাভচেনকোর বিনিময়ে দুই রুশ নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পোরোশেনকো।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত করার পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সশস্ত্র রুশপন্থীদের সহযোগিতা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। তবে রাশিয়া বরাবরই পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/