বিয়ে নয়, জীবনসঙ্গীর মৃত্যু স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক!

wedding

জীবনসঙ্গীর মৃত্যু নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচকও হতে পারে! তবে এটা কেবল নারীদের স্বাস্থ্যের বেলাতেই ঘটে।  ইউনিভার্সিটি অব পাদোভার এক নতুন গবেষণা বলছে এসব কথা। এর মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্চের মুখে পড়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো এক গবেষণা। সেই গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, বিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আর নতুন এই গবেষণা বলছে, বিধবা নারীরা স্বামীর মৃত্যুর পর অসুস্থতায় কম ভোগেন, কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরো উল্টো বিষয় ঘটে। স্ত্রীর ওপর বেশি রকম নির্ভরশীল পুরুষরা স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় বেশি ভুগতে থাকেন।

ইউনিভার্সিটি অব পাদোভার ডঃ ক্যাটরিনা ট্রেভিসান বিষয়টি ব্যখ্যা করে বলেন, ‘অনেক পুরুষের কাছেই স্ত্রীরা হলেন জলজ্যান্ত গৃহব্যবস্থাপক ও তার স্বাস্থ্যের রক্ষণাবেক্ষণকারী। ফলে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। উল্টোদিকে স্বামীর মৃত্যু হলে নারীর ওপর থেকে গৃহশ্রম ও স্বামীর সেবাযত্ন করার চাপ কমে।’

আরও পড়ুনঃ বিয়ের পাত্রী হিসেবে চীনে পাচার হচ্ছেন ভিয়েতনামের নারী 

এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই আগের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, বিবাহিত মানুষ মাত্রই একা মানুষের তুলনায় দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করেন। এ প্রসঙ্গে ডঃ ক্যাটরিনা বলেন, ‘আমাদের বর্তমান গবেষণার ফলাফল আগের গবেষণাটির সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে মেলে না। ওই গবেষণায় বিবাহের একটা রক্ষণশীল প্রভাব দেখানো হয়েছে যা কিনা আয়ু ও স্বাস্থ্যের ওপর কাজ করে। তবে সামাজিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে সঙ্গীহীনতা নারীর জন্য ইতিবাচক হয়।’   

গবেষকরা আরও জানান, এই কারণেই অবিবাহিত নারীদের বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা কম থাকে।এ ছাড়াও অবিবাহিত নারীদের কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টি ও তৎপরতা বেশি থাকে। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট

/ইউআর/বিএ/