গাজায় হত্যাযজ্ঞ

ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো দক্ষিণ আফ্রিকা

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিনে ফিলিস্তিনিদের চলমান ভূমি দিবসের বিক্ষোভে ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনীর ভয়াবহ সহিসংতা ও হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত

১৯৪৮ সালের ১৫ মে দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ অবৈধ বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকে ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। ভূমি দিবসের কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। গ্রেট রিটার্ন মার্চ খ্যাত এবারের কর্মসূচিতে সোমবারের আগ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ ফিলিস্তিনি। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোমবার সীমান্ত এলাকার ওই বিক্ষোভে অংশ নেন লাখো মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি। এদিন নিহত ৫৮ ফিলিস্তিনিকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বিক্ষোভে হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে সাম্প্রতিক ইতিহাসের এ ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। 

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের এই সর্বশেষ হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন এবং সম্পত্তির ধ্বংস হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলার ব্যপ্তি ও শক্তির ভারসাম্যের কথা বিবেচনা দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মুহূর্ত থেকে পরবর্তী ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা জানায়, আগেও যেমন আমরা বলেছি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত পদক্ষেপ সংকটের স্থায়ী সমাধানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিবৃতিতে এই হত্যাযজ্ঞের একটি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।