কঙ্গোতে দেওয়া হচ্ছে ইবোলার পরীক্ষামূলক টিকা

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষামূলক টিকা। ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কঙ্গোর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব ও ভাষাগত সমস্যার কারণে টিকার ওষুধ সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মের্ক অ্যান্ড কোং নামের প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ভিএসভি–ইবিওভি ওষুধটি এখনও অনুমোদন পায়নি। তারপরও ‘সহানুভূতির’ কারণে কঙ্গোতে ওষুধটি বিলি করতে রাজি হয়েছে তারা। ওষুধটির বিতরণে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কঙ্গোর সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। যারা ইবোলার টিকা নিতে চান তাদেরকে লিখিতভাবে অনুমতি দিতে হবে।s4.reutersmedia.net

কঙ্গোর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে স্বাস্থ্যসেবার স্থায়ী কোনও অবকাঠামোই নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিটার সালামা বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম এলাকাগুলোর একটিতে চলা কার্যক্রমের একটি এই টিকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ। এখানে খুবই গরম। আর্দ্রতাও বেশি। আমাদের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কয়েকশ কিমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে ওষুধগুলো সরবরাহ করতে।’ মের্ক অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠানের ওই ভ্যাক্সিনটি আগে রিং পদ্ধতিতে একবার পরীক্ষা করা হয়েছে। ওষুধটির নাম ভিএসভি–ইবিওভি।

টিকা প্রদানের কর্মসূচীতে ‘রিং ভ্যাক্সিনেশন’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ কাছাকাছি সময়ে ইবোলা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট করে টিকা দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মনে করে, আপাতত ৫০টি রিংভুক্তদের দেওয়ার মতো যথেষ্ট ওষুধ তাদের আছে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যা হবে ভাষাগত পার্থক্যের কারণে। তদেরকে দোভাষী ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় নেতাদেরও জানাতে হবে যে কেন ওই টিকা গ্রহণ করা উচিত। বিদ্যুতের অভাবে ওষুধগুলোকে ‘নিম্ন তাপমাত্রায়’ রাখতেও বেগ পেতে হবে। যদি তা পারা না যায়, তাহলে টিকার ওষুধ শতভাগ কার্যকারিতা দেখাতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে ইবোলা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছে আরও ২৩ জন। শহরাঞ্চলে দেখা দেওয়ায় বুধবার হু আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিল, মহামারিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ এবং দাতব্য সংস্থা ‘গ্লোবাল হেল্থ চ্যারিটির’ জেরেমি ফারার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাদুর্ভাবটির মধ্যে মহামারি হয়ে ওঠার সব লক্ষণই বিদ্যমান।’