২০২০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দাবা পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে মিসর অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার সহকারী শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জর্জি কালামানোভ। তিনি জানান, এখন রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক কেন্দ্রটির নকশা চূড়ান্ত করার কাজের পাশাপাশি নির্মাণ এলাকায় জরিপ চালাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।
২০১৫ সালে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দাবা এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে মিসর। দেশটিতে প্রথমবারের মতো এই ধরনের কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে সেটিই ছিল প্রথম চুক্তি। ওই চুক্তি অনুযায়ী ওই প্রকল্পের জন্য মস্কোর কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে কায়রো।
২০১৬ সালে মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই ঋণের পরিমাণ আড়াইশো কোটি মার্কিন ডলার। এতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজে ৮৫ শতাংশের অর্থের যোগান দেওয়া হবে। ৩৫ বছর মেয়াদে এই অর্থ শোধ করতে হবে কায়রোকে। বাকি ১৫ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে মিসর।
দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি চুল্লি থাকবে। এর প্রতিটি থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে মূল্যস্ফীতি ও বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য অনেকেই মিসরের সমালোচনা করে থাকেন।